সংবিধান পরিবর্তনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, “সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচনের দিকেই যেতে হবে। এনসিপির পক্ষ থেকে সেই দাবি বারবার তোলা হলেও, নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানা এবং অসহযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বর্তমান সংবিধান জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, নারীদের জন্য তো নয়ই।”
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ‘জুলাই স্মৃতি হলে’ এনসিপি নারী সেল চট্টগ্রামের আয়োজনে ‘রাজনীতি ও নাগরিক হিসেবে নারী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে নারীদের সক্রিয় ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ দেখতে চাই। নারী নেতৃত্ব যেন দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে উঠে আসে—সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “৩১ দফায় অনেক কিছু বলা হয়েছে—ডে কেয়ারের ব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তারা এড়িয়ে গেছেন, সেটি হলো—নারীদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনগুলোতে যেন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, সেটিই আমাদের দাবি।”
তিনি আরও জানান, নারীদের জন্য ১০০ আসনে প্রতিযোগিতামূলক নেতৃত্ব গড়ে তোলার বিষয়টিও এনসিপি গুরুত্বসহকারে দেখছে।
সভায় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার তুষার বলেন, “সংবিধান নিয়ে কথা বলা জনগণের অধিকার। কেউ যদি বলে—তুমি কী বোঝো সংবিধান? তাকে বলে দিন—গেট লস্ট। কারণ সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছা ও প্রত্যাশার দলিল। আমাদের বোঝানো হচ্ছে, আমরা নাকি গণপরিষদ নির্বাচন বুঝি না। অথচ সংবিধান পরিবর্তনের জন্য গণপরিষদ ও গণভোট—দুটিই অপরিহার্য। যারা এর বিরোধিতা করছে, তাদের স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাসনুভা জাবীন, সংগঠক রাসেল আহমেদসহ প্রমূখ।