নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একজন সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের জন্য দৈনন্দিন শারীরিক অনুশীলন অপরিহার্য। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরাবরই ব্যায়ামের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, কারণ এটি নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যার প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
প্রথমত, ব্যায়াম শরীরের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদপিণ্ডকে সক্রিয় রাখে। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। দ্বিতীয়ত, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়ামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম ক্যালোরি খরচ করে ও চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে এবং শরীরের গঠন সুন্দর থাকে।
তৃতীয়ত, ব্যায়াম হাড় ও পেশি মজবুত করে, ফলে বার্ধক্যে হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিসের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। চতুর্থত, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ব্যায়ামের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা কমাতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কে ‘এন্ডোরফিন’ নামক সুখানুভূতির হরমোন নিঃসরণ বাড়ায়, ফলে মন প্রফুল্ল থাকে।
পঞ্চমত, ব্যায়াম ঘুমের মান উন্নত করে এবং শরীরকে চনমনে রাখে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা সহজেই ঘুমিয়ে পড়েন এবং ঘুম থেকে জাগার পর সজাগ অনুভব করেন। এছাড়া ব্যায়াম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নানা ধরণের দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে সক্ষম করে তোলে।
সবশেষে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ব্যায়ামকে প্রতিদিনের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম কিংবা হালকা কসরত—যেকোনো ধরনের শারীরিক অনুশীলনই শরীর ও মনের জন্য সুফল বয়ে আনে। তাই সুস্থ, সতেজ ও দীর্ঘ জীবন কামনায় নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই।